বাড়িতে আগুন লেগে মৃত তিন, আহত এক। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান। শনিবার গভীর রাতের ঘটনা। এই ঘটনায় বাড়ির তিনজন মারা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির কর্তা কেবল চন, স্ত্রী গায়ত্রী চন ও এদের জামাই বাবলু সিং আগুন লাগার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। কেবল চনের মেয়ে শিল্পী সিংকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার ফতেপুর বৈশালী পার্কের কাছে। রাতে দমকল ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বর্ষীয়াণ তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতেই হামলা। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে আসাসনসোলে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। আসানসোলে আপার গার্ডেনে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাসভবনে ভাঙচুর। বাসভবনের অফিসের টেবিলে কাচ ভাঙচুর। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করল পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছুটে আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস, এসিপি সেন্ট্রাল বিশ্বজিত নস্কর। মন্ত্রীর বাসভবনে পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে হামলা, প্রশ্ন উঠছে।মলয় ঘটকের স্ত্রী বলেন, আমি ওপরে ছিলাম। হঠাৎ নীচে দুমদুম আওয়াজ। জানি নীচে পুলিশ আছে। তবু নীচে এসে দেখছি যে এখানে ভাঙাচোড়া অবস্থা। এক যুবকের হাতে ইঁটের থানা। জানি না কি উদ্দেশ্যে এসেছিল। পুলিশ ছিল তবু ভয় পেয়ে গিয়েছি। আমি একা থাকি। মন্ত্রী থাকলে সাহস পেত কিনা জানি না। কোনও কিছু বলেনি। অন্যরা যখন ধরলো তখনও কিছু বলেনি চুপ করেছিল। পুলিশ বলেছে, বিকেল ৪.৪৫ নাগাদ হঠাৎ একটা ছেলে মন্ত্রীর ঘরে ঢুকে যায়। আমরা তাকে আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখছি কেন এমন করল। পুলিশ থাকতেও কি করে ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার আসানসোল আদালতে তোলা হয় আসানসোলের বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে। গত বছর ১৪ই ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণকাণ্ড পদপৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার গ্রেফতার করা হয় জিতেন্দ্রকেl এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি নিজে একজন আইনজীবী হিসেবে নিজেই নিজের মামলা মুভ করেন বলে জানা গিয়েছে। জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে আদালত থেকে বার করার আগে বিজেপি কর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থেকে আদালত চত্বরে। তাঁদের দাবি, যে গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই গাড়ি পরিবর্তন করতে হবে। তারা অভিযোগ জানাতে থাকে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসি গাড়ি ব্যবহার করে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি জিতেন্দ্রকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও এসি গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। এই অভিযোগে তারা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গাড়ির সামনে বসে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। যদিও পুলিশি তৎপরতায় আদালত চত্বর থেকে বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে বার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এদিন সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানিয়েছেন ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল আদালতে আদালত ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। আগামী ২৭ তারিখ পুনরায় জিতেন্দ্র তেওয়ারি পেশ করা হবে।
দীপাবলি উৎসব পেরিয়ে দেশ জুড়ে ছট উৎসবের প্রস্তুতি শুরু। এই পরিস্থিতি তে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রেও বিভিন্ন ছট ঘাট পরিদর্শন সহ তার সংস্কার সাধন করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বাজারে পুজার সামগ্রী কেনার ব্যস্ততা বেড়েছে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যয় কুলটির স্টেশন রোড অঞ্চলে এলাকার সংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার নিখোঁজের পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে। যদিও এই পোস্টার কে বা কারা লগিয়েছে তার স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে পোস্টের তলায় লেখা রয়েছে আসানসোলের বিহারী সমাজ। উল্লেখ্য শত্রুঘ্ন সিনহা নিজেও বিহারীবাবু হিসাবে পরিচিত।তবে পোস্টারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমুল পুরপিতা সেলিম আখতার আনসারি বলেন এটি নিশ্চিত ভাবেই কোনো পাগলের কাজ। অন্যদিকে স্থানীয় জিসান কুরেশি নামের ব্যক্তি বলেন পোস্টার কারা লাগিয়েছে জানা নেই। তবে পোস্টারের বক্তব্য সত্যি। ছট উৎসবেও নিজের সাংসদ এলাকায় বিহারীবাবুর দেখা নেই। যখন তার নিজের উপস্থিতিতে এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তে নজর দেওয়া ও স্থানীয় জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ ছিল। অন্য দিকে কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত জানিয়েছেন এটি পুরোপুরি বিজেপির চক্রান্ত। তারা কোনো ভাবেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সাথে পেরে উঠছে না। তাই নানা ছলে তৃণমূলের বদনাম করতে চাইছে। এলাকায় পরিষেবা দেওয়ার কাজ পুরনিগমের। যা যথার্থ ভাবেই পালিত হচ্ছে। এলাকার সংসদ প্রতিনিয়ত মেয়রের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন।
রাতভর ধৃত আইনজীবী সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাল পুলিশ। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মামলার বিচারককে হুমকি চিঠির ঘটনায় সোমবার গ্রেফতার হয় বর্ধমান আদালতের আইনজীবী সুদীপ্ত রায়কে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সোমবার রাতেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারির চিনুই (সাহানুই) গ্রাম থেকে ধৃত আইনজীবী সুদীপ্ত রায়ের সহকারী দীপক মহুরীকে বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে আসানসোল আদালত চত্বরে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত। খবর পেয়েই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।এখানে উল্লেখ্য ২০ আগষ্ট আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে লেখা হয় গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দিলে তাঁর পরিবারকে গাঁজা কেসে ফাঁসানো হবে। সেই চিঠির প্রেরক হিসাবে পূর্ব বর্ধমানের এগজিকিউটিভ আদালতের আপার-ডিভিশন ক্লার্ক (ইউডিসি) বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ও সই ছিল। বাপ্পা প্রথম থেকেই বলে আসছেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।হুমকি চিঠির তদন্তে গত বৃহস্পতিবারও বাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের দুই পুলিশকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদের পর বাপ্পা দাবি করেন, সুদীপ্ত রায় নামে বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবী দিন দুয়েক আগে তাঁকে আদালত চত্বরে হুমকি দিয়েছিলেন। তাকে বলা হয়, তোর যা ব্যবস্থা করার, হয়ে গিয়েছে। এ বার তোর চাকরি খাব। বাপ্পাবাবু গোটা বিষয়টি বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসককে জানান। হুমকি চিঠির পিছনে সুদীপ্তেরই হাত রয়েছে। শুক্রবার বাপ্পার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়। তার পরেই সোমবার গ্রেফতার হয় সুদীপ্ত।সোমবার গভীররাতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ বর্ধমান থানার পুলিশের সহযোগিতায় ধৃত আইনজীবী সুদীপ্ত রায়ের বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশী চালায়।
আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি প্রসঙ্গে অভিযুক্ত বাপ্পা চ্যাটার্জীকে বুধবারের পর ফের বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করলো আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের দুই পুলিশকর্মী। বুধবারই তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বর্ধমান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রট কোর্টের হেডক্লার্ক বাপ্পা চ্যাটার্জী। আজও আসানসোল পুলিশ থেকে সেই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানিয়েছেন বাপ্পা বাবু। এদিন বেলা ১২ টার সময় আসানসোল পুলিশের একটি দল তার কাছে যায় এবং হুমকি চিঠি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে এই বিষয়ে বাপ্পা বাবু এদিন কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। সুতরাং তাকে এই বিষয়ে কিছু বলতে মানা করা হয়েছে। তবে তিনি বলেন আইনজীবী সুদীপ্ত রায় তাকে দুদিন আগে কোর্ট চত্বরে বলে তোর যা ব্যবস্থা করা সব হয়েগেছে। এবার তোর চাকরী খাবো।এই বিষয়টি তিনি মহকুমাশাসককে জানিয়েছেন। তার ধারণা এই বিষয়টি সুদীপ্ত রায়ই করেছে।চার পাঁচ দিন আগে হুমকি চিঠি যায় আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে। সেই চিঠিতে লেখা, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিন। না হলে আপনি এবং আপনার পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে। খামের উপর ব্যবহার করা হয়েছে বাপ্পার নামাঙ্কিত সিলমোহর।
আসানসোলে সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে অনুব্রতের গাড়ি থামলো শক্তিগড়ে। গরুপাচারের ঘটনায় ধৃত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল চার দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর বুধবার তাকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে কলকাতা থেকে আসানসোল যাওয়ার পথে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়া সিবিআইয়ের গাড়ি থামে জাতীয় সড়কের শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকান পরিয়ে। বর্ধমানের উল্লাসমোড় ঢোকার বেশ খানিকটা আগে( ১ কিলোমিটার) রাস্তার ধারে একটি ধাবার সামনে গাড়ি থামে। অনুব্রত মণ্ডল সিআরপিএফের একেবারে ঘেরাটোপে ঢোকেন ধাবার ভিতরে। তখন জাতীয় সড়কের ধারে বেশ কয়েকটি গাড়ি সহ গোটা এলাকাটি সিআরপিএফ জওয়ান ঘিরে রাখে। তিনি সটান ঢুকে যান ধাবার কেবিনে। তবে তিনি ল্যাংচা বা কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার খান নি।দুটি ডালপুরি ও লিকার চা খেয়ে প্রাতঃরাশ সারেন।তিনি ওখানে আধঘন্টা ছিলেন। ধাবার কর্মীরা তাকে সেরামিকের কাপ ডিসে লিকার চা দেয়। অনুব্রত বরাবরই দুধ চা বা কফি এড়িয়ে চলেন চিকিৎসকদের নির্দেশে। বরং দলীয় অনুষ্ঠান, বাড়িতে বা পার্টি অফিসে সব সময়েই লিকার চা খান।তবে বিকালে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে থাকলে লিকার চায়ের সঙ্গে গরম সিঙারা খেতে পছন্দ করতেন।সিএসএফ জওয়ান কেবিনের ভিতরে কার্যত মাছি গলতে দেয় নি এদিন ধাবায়।অনুব্রতের গাড়ি থামার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার বহু মানুষ ধাবার সামনে উপস্থিত হন।পথচলতি মানুষজন ও গাড়িও থেমে যায় থাবার সামনে।তারপর সিবিআইয়ের গাড়ি চলে যায় আসানসোলের উদ্দেশ্যে।
আসানসোলের সিবিআই কোর্টের বিচারককে হুমকি চিঠি। ঘটনাই চাঞ্চল্য ছড়ালো আসানসোল ও বর্ধমানে। অভিযোগ বর্ধমান কোর্টের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের হেড ক্লার্কের বিরুদ্ধে। এই ঘোরতর অভিযোগ যার দিকে, বর্ধমান কোর্টের সেই হেড ক্লার্ক বাপ্পা চ্যাটার্জি জানান, আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা। আপনাদের কাছ থেকে প্রথম শুনছি। এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কেউ কি আপনার নাম করে এই হুমকি চিঠি দিয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে বাপ্পা বাবু জানান সেটাও আমি কিছু বুঝতে পারছি না। এখানে উল্লেখ্য বাপ্পা তৃণমূলের জেলাভিত্তিক কর্মচারী সংগঠনের সদস্য।বাপ্পার নামে হুমকি চিঠি আসে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে। ওই চিঠিতে লেখা হয়, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিন। না হলে আপনি এবং আপনার পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে। চিঠিটি যে খামে করে পাঠানো হয় তাঁর উপর বাপ্পা চ্যাটার্জির নামে সিলমোহর ব্যবহার করা হয়েছে। বাপ্পা জানিয়েছেন, তাঁর এবিষয়ে কিছুই জানা নেই। তিনি আরও জানান, সিলমোহর তাঁর কাছেই আছে। চুরি যায়নি, হয়ত কেউ কেউ ওই সিলমোহর নকল করে এই কান্ডটি ঘটিয়েছে।প্রসঙ্গত আগামিকাল বুধবারই অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের শুনানি আছে আসানসোল সিবিআই কোর্টে। অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় আপাতত সিবিআই হেপাজতে আছেন।
রাজ্য়ের দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসানসোলে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে পরপর দুবারে জয় পাওয়া বিজেপিকে। প্রায় ২ লক্ষের ওপর ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে পরাজিত করেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। অন্যদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় জয় পেয়েছেন ২০ হাজারের ওপর ভোটের ব্যবধানে। এখানে এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। কিন্তু এই কেন্দ্রে যে ভাবে তৃণমূলের ভোট কমেছে তাতে ঘাসফুল নেতৃত্বের যথেষ্ট আতঙ্কের কারণ রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ ও ২০১৯-এ জয় পেয়েছিল বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় প্রায় ১,৯৭,৬৩৭ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে পরাজিত করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস গঠন হওয়ার পর আসানসোল কেন্দ্রে জয় পায়নি। এই প্রথম সেখানে জয় পেয়েছে তৃণমূল। শত্রুঘ্ন সিনহা ভোট পেয়েছেন ৬,৪৬,৬৬১ ভোট পেয়েছেন শত্রুঘ্ন। প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোট। অগ্নিমিত্রা পাল ভোট পেয়েছেন ৩,৫০,০১৫। শতাংশের হিসাবে ৩০%। বিজেপির প্রায় ২২ শতাংশ ভোট কমেছে গতবাবের তুলনায়।এদিকে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপিকে সরিয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ২০হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে। বাবুল পেয়েছেন ৫০,৯৯৬ ভোট। সায়রার প্রাপ্ত ভোট ৩০,৯৪০ ভোট। বিজেপি গতবারে তুলনায় ৭ শতাংশ কম ভোট পেয়েছে। বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ পেয়েছেন ১৩,১৭৪ ভোট। তবে এই কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট প্রাপ্তি কমেছে তৃণমূলের। রাজনৈতিক মহলের মতে, গতবারের থেকে প্রায় ২০ শতাংশ ভোট কমায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ঘাসফুল শিবিরের।
আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন ঘিরে তাপ-উত্তাপ বেড়েই চলেছে সকাল থেকে। বালিগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কেয়া ঘোষ সকালেই অভিযোগ করেন, বুথের মধ্যে কলকাতা পুলিশ থাকছে। তাছাড়া ফলস ভোটের অভিযোগও করেছেন তিনি। এদিকে আসানসোলের উপনির্বাচনের শুরু থেকেই ধুন্ধমার কান্ড। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি ভাঙচুর থেকে তাঁর নিরাপত্তা কর্মীর সঙ্গে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এরই পাশাপাশি এদিন বারাবনিতে পুলিশ সংবাদ মাধ্য়মের গাড়ি আটকে দেয়। যদিও কোনও সরকারি নোটিশ দেখাতে পারেনি পুলিশ।আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। পাশাপাশি আসানসোল কেন্দ্র ধরে রাখার দায় রয়েছে বিজেপির। এদিকে সাংবাদিক আটকানো নিয়ে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, সাংবাদিকদের কোনও ভাবেই আটকাতে পারবে না পুলিশ। সাংবাদিকরা ফ্রি মুভমেন্ট করতে পারবে। কেউ বাধা দিতে পারবে না।এদিন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাথর ছোড়াছুড়ি চলে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এমনকী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে অগ্নিমিত্রার নিরাপত্তা রক্ষীরা। অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, ফলস ভোট দিয়ে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বরং তৃণমূলের অভিযোগ, বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। এককথায় আসানসোলের উপনির্বাচন ঘিরে তুলকালাম অবস্থা।
রাত পোহালেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেই উপ-নির্বাচন উপলক্ষে এ দিন বিকেল থেকেই বিভিন্ন বুথে বুথে পৌঁছেছেন ভোট কর্মীরা। ইভিএম সহ ভোটের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ভোট কর্মীদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন বুথে। বুথে বুথে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। শংকরপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ২৩৫-২৩৬ নম্বর বুথ, ঠিক তার উল্টো দিকেই শংকরপুর শিশু আলয় রয়েছে ২৩৪ ও ২৩৪ এ । এই চারটি বুথেই শংকরপুর এলাকার মানুষরা ১২ তারিখ সকাল থেকেই নিজেও প্রার্থীর সমর্থনে ইভিএমে ভোট দেবেন। বুথের সামনেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছাউনী। সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা এই চারটি বুথের দায়িত্বে রয়েছেন।
দলের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে না বলে তোপ দেগেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। এবার আসনসোলে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে কল্যানের পাশে দাঁড়িয়েই বক্তব্য রাখলেন অভিষেক। হুঙ্কার ছাড়লেন বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিষেকের আপশোষ তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দিন আসানসোল লোকসভা আসনে জয় পায়নি।এবার আসানসোল কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁকে বহিরাগত বলে দাবি করছে বিজেপি। অন্য দিকে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বহিরাগত তত্বে অনড় বলতে শোনা গেল অভিষেকর ভাষণে। বরং শত্রুঘ্ন সিনার সঙ্গে আসানসোলের দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক বলে তিনি ঘোষণা করলেন। অভিষেক বলেন, এই আসন থেকে তৃণমূল কোনও দিন জিততে পারেনি। এবার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। একটা ইডি, সিবিআইয়ের নোটিশ ধরিয়ে কিছু করতে পারবে না।শ্রীলঙ্কায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে লঙ্কাকান্ড ঘটে চলেছে। ওই দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। ভারতের অর্থনীতির হাল যে শ্রীলঙ্কার থেকেও খারাপ, বলেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ১৫৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত নরেন্দ্র মোদি সরকার। শ্রীলঙ্কার থেকে ভারতের ২০ গুন খারাপ অবস্থা। ৬৭ বছরে ভারতের ঋণের পরিমান ছিল ৫৪ লক্ষ কোটি টাকা। নরেন্দ্র মোদী ৭ বছরে ১০২ কোটি টাকা ঋণ করেছে।বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসায় বাবুল সুপ্রিয়র প্রশাংসা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল জয়ের পর ফের খেলা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। অভিষেক বলেন, বাবুল সুপ্রিয় চলে গিয়েছে তৃণমূলে। গায়ে লাগছে। যে করে হোক সিটটা জিততে হবে! আমি বলছি খেলা এখনও শুরু হয়নি। আসানসোল জেতার পর খেলা শুরু হবে। তারপর দরজা খুলব, কে কে আসবে আর কে কোথায় জিতবে আপনারা দেখবেন। তৈরি থাকুন। কী ভাবছেন তৃণমূলকে দমিয়ে রাখবেন। তাঁর ভাষণের সময় সারাক্ষণ পাশে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন কল্যান।
পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে নির্বাচনীয় প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করে নির্বাচন কমিশনার। বুধবার তার প্রতিক্রিয়া দিলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। প্রতিক্রিয়ায় বিধায়কের দাবি, নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে এই ধরনের কোনও নোটিশ তিনি পাননি।উল্লেখ্য, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন দলীয় প্রচার চলছে। সেখানে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত লাউদহ ব্লকের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে কর্মীদের সম্বোধন করার সময় বিজেপি সমর্থকদের খোলাখুলি হুমকি দিতে দেখা যায়। যে ভিডিও র সত্যতা যাচাই করিনি আমরা।যারা কট্টর বি জে পি যাদেরকে এড়ানো যাবে না তাদেরকে চমকাতে হবে। বলবেন আপনি যদি ভোট দিতে চান তাহলে ধরে নেব আপনি বিজেপিকে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন সেটা আপনার নিজের বিষয়। আপনি যদি ভোট দিতে না যান তাহলে ধরে নেব আপনি আমাদের সমর্থন করছেন। তাহলে আপনি বাড়িতে থাকুন ব্যবসা করুন, চাকরি করুন, ভালভাবে থাকুন, কোন অসুবিধা নেই আমরা আপনার সঙ্গে আছি ক্লিয়ার। ভিডিওটি সামনে আসার পর বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন একটা জিনিসই উনি বুঝেছেন। বিজেপির লোকেরা যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে উনারা হারবেন, এটা উনি বলেছেন। এরকম হুমকি উনি না দিলেই ভাল হয়। উনিতো অনুব্রত মণ্ডলের শিষ্য, অনুব্রত মণ্ডল তো কিছুদিন পর হয়তো জেলের মধ্যে থাকবেন। এরকম থাকলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে লুডু খেলার জন্য আরও দুতিনজন লাগবে। তখন হয়তো উনাকে যেতে হবে । এরকম না করলেই ভালো হবে।আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বিভিন্ন অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে কর্মিসভা করা হল। এই কর্মিসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বাউরি সহ-সভাপতি রমা রুইদাস এবং কিরীটি মুখার্জি, রামচরিত পাসোয়ান সহ অন্যান্য ব্লক নেতৃত্ব।মূলত এই সভাটি বিধানসভার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হরিপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনী সভায় বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সেখানেই বলেন বলে বিজেপির অভিযোগ।
তিন পুরনিগমের মেয়র পদে দলের বিশ্বস্ত সৈনিকদেরই বেছে নিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিধাননগরের মেয়রের দায়িত্ব ফের দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে। ডেপুটি মেয়র করা হয়েছে অনিতা মণ্ডলকে। বিজেপি থেকে ঘর ওয়াপসি করা সব্যসাচী দত্তকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আসানসোল পুর নিগমের মেয়র হয়েছেন বিধান উপাধ্যায়কে। আর চন্দননগরের মহানাগরিকের দায়িত্ব ফের বর্তেছে রাম চক্রবর্তীর কাঁধে। শুক্রবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ও কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।গত সোমবার চার পুরনিগমের ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র হিসেবে দলের দীর্ঘদিনের নেতা গৌতম দেবের নাম ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি তিন পুরনিগমের মেয়র পদ নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, তিন পুরনিগমের মেয়র পদে কারা বসবেন তা নিয়ে। একাধিক নামও বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল। বিধাননগরের মেয়র পদে দৌড়ে যেমন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, সব্যসাচী দত্তের নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল, তেমনই আসানসোলের মেয়র হিসেবে বর্তমান প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটকের নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল।এদিন কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসেছিল। ওই বৈঠকেই তিন পুরনিগমের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও চেয়ারম্যানকে বেছে নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, আসানসোলের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন বিধান উপাধ্যায়। দুজনকে ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক ওই দায়িত্ব পাচ্ছেন। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। চন্দননগরের মেয়রের দায়িত্ব থাকছে রাম চক্রবর্তীর কাঁধেই। বিধাননগরের মেয়রের দায়িত্ব পাচ্ছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র হচ্ছেন প্রাক্তন সাংসদ মনোরঞ্জন ভক্তের মেয়ে অনিতা মণ্ডল। চেয়ারম্যান হচ্ছেন প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। পুরবোর্ডের বাকি পদাধিকারীদের পরে বেছে নেওয়া হবে বলে এদিন জানিয়েছেন।
সোমবার ভোটগণনা শুরুর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ছবিটা। শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরের পুরনিগম চলে আসে তৃণমূলের দখলে। এই অভূতপূর্ব জয়ে মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলে দেন, কোনও কাজ না করার জন্যই শিলিগুড়িতে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।সোমবার বিধাননগর পুরনিগমের ৪১ টি ওয়ার্ডের ২০৩ প্রার্থীর ভাগ্য গণনা শুরু হয়। প্রথম থেকেই দেখা যায়, বিধাননগরে একাধিক ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এই পুরনিগমের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছেন তাপস ভট্টাচার্যের কন্যা আরাত্রিকা ভট্টাচার্য। তিনি ১০ হাজার ৩৪২ ভোটে জয়ী। অন্যদিকে, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। এখানকার ১৬ থেকে ৩০ সবকটি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। বিধাননগরে, ৭ থেকে ১৪ রাউন্ডে গণনা হচ্ছে এ বার।শিলিগুড়িতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল।মোট আসন ৪৭। তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে ৩৭ টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে পাঁচটি আসন এসেছে। চারটি আসন পেলে বামেরা। কংগ্রেসের দখলে এসেছে একটি আসন। বিজেপি জিতেছে ৪, ৫, ৮, ৯ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। বামেদের দখলে এসেছে ১৯, ২২, ২৯ এবং ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস। ১,২,৩,৬, ৭, ১০, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, ২০, ২১, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭ ওয়ার্ডে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস।আসানসোলে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ইভিএম খারাপ। কমিশন খতিয়ে দেখছে পুর বিষয়টা। সব প্রার্থী এবং পর্যবেক্ষকদের ডাকা হয়েছে দুপুত ২টোর সময়ে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে টাই হওয়ায় টস করে জয়ী নির্ধারণ করা হবে। আসানসোলের মোট ১০৪ তি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৮৯টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৭টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৩টি আসন, বামেদের দখলে ২টি এবং নির্দল পেয়েছে ৩টি আসন। একটি আসনের ফলাফল অমিমাংসিত থাকায় সেখানে টস হবে বিকেল ৫টায়। আসানসোলে ৫৬টি ওয়ার্ড দখল করল তৃণমূল।It is once again an overwhelming victory of Ma, Mati, Manush.My heartiest congratulations to the people of Asansol, Bidhannagar, Siliguri Chandanagore for having put their faith and confidence on All India Trinamool Congress candidates in the Municipal Corporation elections. Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 14, 2022এদিন টুইটারে দলনেত্রী লেখেন, আবারও মা-মাটি-মানুষের জয়। আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরের মানুষকে অভিনন্দন। তৃণমূলের উপর ভরসা রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। এরপরই জুড়ে দেন, আমরা এভাবেই উন্নয়নের কাজ করে যাব। এমন জয়ের জন্য সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।We are committed to carry forward our development work further with greater zeal and enthusiasm.My sincerest gratitude to Ma Mati Manush. Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 14, 2022
রাজ্যের চার পুরসভার ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ভোটের মত গণনা পর্বেও কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কোভিড বিধি মেনে নির্বিঘ্নে সম্পাদন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে । রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হয়েছে। কিন্তু সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সকাল সাতটার মধ্যে এসে উপস্থিত হতে হয়েছে গণনা কেন্দ্রে। সাড়ে সাতটা থেকে নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের ভিতরে প্রবেশ করান।গণনা কেন্দ্র-সহ গণনা কেন্দ্রের বাইরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। একদম বাইরে রয়েছে আরটি মোবাইল, এইচআরএসএসও, কিউআরটি ফোর্স, সশস্ত্র বাহিনী ও লাঠিধারী পুলিশ। দ্বিতীয় স্তরে শুধুমাত্র বন্দুকধারী পুলিশ রয়েছে। তৃতীয় স্তরে একেবারে বন্দুকধারী পুলিশ। তারা শুধুমাত্র গণনা কেন্দ্রের মধ্যে তাদেরকেই প্রবেশ করতে দেবেন যারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত অনুমতি পত্র নিয়ে যাবেন। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে দ্বিতীয় স্তর পর্যন্ত। তৃতীয় স্তরে শুধুমাত্র তারাই প্রবেশ করতে পারবেন যাবেন কমিশন নিয়ে যাবে। সেখানে রাজ্য তথ্য-সংস্কৃতি ও জেলাশাসকদের দপ্তরের কর্মীরা থাকবেন। তাঁরাই এ কাজে সহযোগিতা করবেন। তবে গণনা কেন্দ্রের প্রথম স্তরেই ঢুকতে গেলে শুধুমাত্র সাদা কাগজ এবং পেন ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে যাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সংবাদকর্মীদের এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্তর পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনার কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে অন্য কক্ষে শুরু হয়ে যাবে ইভিএম গণনা।রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তার জন্য কঠোরতম ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ফলাফলকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেই দিকে কমিশন সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। পাশাপাশি কমিশন সূত্রে খবর, দুপুর ১টার মধ্যে ফলাফল সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয়ে যাবে।কমিশন জানাচ্ছে, আসানসোলে ২২ রাউন্ড, বিধাননগরে সর্বনিম্ন ৮ এবং সর্বোচ্চ ১৪ রাউন্ড, চন্দননগরের সর্বনিম্ন ৬ এবং সর্বোচ্চ ১১ রাউন্ড ও শিলিগুড়িতে সর্বনিম্ন ৬ এবং সর্বোচ্চ ৭ রাউন্ড গণনা হবে।
চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্য়ুকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরে। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে। হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে মৃতের পরিবারের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিজনরা। পুলিশকে ঘিরে ধরে প্রবল দেখাতে থাকে। মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করতে থাকে পরিবারের লোকেরা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার কান্ড ঘটে দুর্গাপুরের সোভাপুরের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার জেরে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘিরে ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে দেয় মৃতের পরিবার-পরিজনরা। হাসপাতালের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে। ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে। ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গেও। হাসপাতালের গেটের সামনে বসে পড়ে প্রবল বিক্ষোভ শুরু করে দেয় মৃতের পরিবার পরিজনরা।মৃতের পরিবারের দাবি. যত ক্ষণ না চিকিৎসক আসছেন ততক্ষন তাঁরা বসে থাকবেন হাসপাতালের গেটের সামনে। এছাড়া তাঁরা ক্ষতিপূরণের দাবি করতে থাকেন। প্রবল বিক্ষোভের জেরে হাসপাতালে চত্বরে চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। বোঝাতে এলে পুলিশকে ঘিরে ধরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। গত ৮ নভেম্বর অন্ডালের কাজোড়ার কাজল মন্ডলকে বুকে ব্যাথা নিয়ে সোভাপুরের এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে ভর্তি করা হয় এই হাসপাতালে। অভিযোগ, বুধবার পর্যন্ত রুগী ভালো আছে বলে জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হয় রুগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, হাসপাতালে এসে দেখেন তাদেরকে প্রিয়জনের মৃত্য়ু হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্ত চিকিৎসককে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এই দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় হাসপাতাল গেটের সামনে, এরপরই শুরু হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা, দু এক কথা হতে হতে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদেরকে ঘিরে ধরেও প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয় জনতার। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে হাসপাতালের এক নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে উত্তপ্ত হয় হাসপাতাল চত্বর। দাবি ওঠে অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ফের চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরিস্তিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে দূর্গাপুর থানার পুলিশ। আটকে দেওয়া হয় হাসপাতালের বাকি রুগীদের পরিবার-পরিজনকে, পুলিশের মধ্যস্থাতায় পরিস্থিতি শান্ত হলেও ক্ষতিপূরণ আর অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে চলতে থাকে বিক্ষোভ। মীমাংসা না হওয়া মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। প্রবল উত্তেজনা থাকায় হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শেষমেশ তৃণমূল ছাড়লেন, যোগ দিলেন বিজেপিতে। টানা তিন মাস টালবাহানার পর আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র, পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি গেরুয়া শিবিরে ভিড়লেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বৈদ্যবাটিতে এক সভায় পদ্মপতাকা হাতে তুলে নেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ ছাড়ার পরই কাঁকসায় তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে হাজির ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তারপর বেসুরো বক্তব্যও রাখছিলেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে আলোচনার পর দলেই থেকে যান। তবে তৃণমূল তাঁকে দলে কোনও পদে রাখেনি। অন্যদিকে আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জিতেন্দ্রর বিজেপি যোগের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। জিতেন্দ্রর ঘটনায় মন্তব্য করায় শোকজের ঘটনাও ঘটে।বিজেপিতে যোগদানের পর জিতেন্দ্র তিওয়ারির মুখে জয় শ্রী রাম ধ্বনি শোনা যায়। তিনি বলেন, ছোট থেকে জয় শ্রী রাম বলতাম। মনে এক বাইরে অনেক কথা বলতে হত। সব কথা বলতে দেওয়া হত না। সেই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিজেপিকে ধন্যবাদ।জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে পুরনো বিরোধের কথা বললেও তাঁকে দলে স্বাগত জানিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। মোদিজির সঙ্গে তিনি কাজ করতে চান, জানান বাবুল।
বিজেপির আর নয় অন্যায়কর্মসূচিতে গুলি ও বোমাবাজির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আসানসোলের বারাবনি। এই ঘটনায় দুজন পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন। আহত বিজেপি কর্মীদের নাম স্বপন বাউড়ি ও সাধন রাউত। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে মিছিল বের করেছিল বিজেপি। বারাবনির জামগ্রাম থেকে কাপিস্টা পর্যন্ত বিজেপির মিছিল যাওয়ার কথা ছিল। তার জন্য সকাল থেকে কর্মী, সমর্থকরা জমায়েত হয়েছিলেন জামাগ্রামে। কিন্তু মিছিল শুরুর আগেই তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃ্তীরা। বোমাবাজিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। মোটরবাইকও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আরও পড়ুনঃ বর্ধমান শহরে দাদার অনুগামী পোস্টার, চাঞ্চল্য অন্যদিকে, বারাবনি তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জামগ্রাম এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে শিবির করেছিলেন দলীয় কর্মীরা। ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত সিংয়ের দাবি, তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। তারাই ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের জড়ো করে বোমা-গুলি চালিয়েছে। আর যেসব গাড়ি পুড়েছে, তা তৃণমূল সমর্থকদেরই। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিজেপির মিছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস বেশ কিছু তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে মোটরবাইকে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ, সেই আগুন নিভিয়েছে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ময়লা ফেলা নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে খুন হয় ইশরার। তিনি আসানসোল উত্তর থানার রেলপাড়ের বাসিন্দা। তার পিতার নাম হাজি ইমতিয়াজ। ইশরারের শশুর মুস্তাফিজ আলম আসানসোল দক্ষিণ থানায় ইশরারকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন।মামলা আদালতে গেলে বিচারক কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে স্থানীয় লো্কজনের বাধায় ফিরে আসতে হয় পুলিশকে। এরপর শুক্রবার বিশাল পুলিশ বাহিনী, বিচারক, চিকিৎসকের উপস্থিতিতে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুনঃ মণীশ শুক্লা খুনে গ্রেফতার আরও ১ জানা গিয়েছে, কাপড়ের দোকানের সামনে ময়লা ফেলা নিয়ে বিবাদ। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় ইশরার।এরপর মহঃ জালোর পাঁচ ছেলে মিলে ইশরারকে মারধর করে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত রবিবার আসানসোল বাজারে। এরপর ইশরারকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মারা যান তিনি। এরপর তার মৃতদেহ শীতলাডাঙ্গা কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়।